সব প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শেষমেষ এল করোনার টিকা। ভারতের শুরু হলো শনিবার থেকে।সূচনার সেই দিনটি উদযাপিত হলো প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে। অনেক ভ্যাকসিন সেন্টারে ছিল যথেষ্ট উৎসবের মেজাজ। যারা প্রথম দিনেই টিকা প্লেন তাদের সিংহভাগেরই মনে হয়েছে এতদিনকার লাগাতার কঠোর ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিশ্রমের তারা স্বীকৃতি পেলেন। কিন্তু টিকা নেওয়ার কি নিরাপদ?গোটা দেশজুড়ে তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খোঁজ না নিলেও দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, ৫১ জনের শরীরে ছোটখাটো জটিলতার দেখা গেলেও একজনের অবস্থা গুরুতর। সেই ব্যক্তিকে AIIMS এ ভর্তি করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা ANI সূত্র অনুযায়ী, দিল্লিতে ৪৩২৯ জন স্বাস্থ্য কর্মী প্রথমদিনে টিকা নিয়েছিলেন। আর তাঁদের মধ্যে ৫১ জনের সামান্য সমস্যা হয়েছে। তাদের উপর নজর রাখা হয়েছে। তবে ২২ বছরের এক হাসপাতাল নিরাপত্তাকর্মী এই ঠিকানায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে AIIMS এ ভর্তি করা হয়েছে।
যদিও কোভিশিল্ড নয়, বরং কোভেক্সিন টিকার উপর ভরসা নেই এক অংশের চিকিৎসকদের।এমনকি প্রথমে তামিলনাড়ু সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা এবং পরে দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক জানান, কোভেক্সি ভরসা নেই কোভিশিল্ড দিতে হবে।
শনিবার রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক জানিয়েছেন তারা কোভ্যাকসিন নয় তারা কোভিশিল্ড নিতে চায়। কারণ কোভিশিল্ড তিনটি ধাপের পরীক্ষা উঠে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে এখনো পিছিয়ে কোভ্যাক্সিন। তাই তাদের আস্থা কোভিশিল্ড উপর।
আরও পড়ুন:রাজ্যে ২০৭টি হাসপাতালে টিকাকরণ আজ
ভারত বায়োটেক এর তৈরি কোভ্যাক্সিনের তুলনায় সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড পরীক্ষার তিনটে ধারণ করেছে সেখানে কোভ্যাক্সিন সবকটি ধাপ পূরণ করতে পারেনি। তাই টিকাকরণের রাজি নয় অনেক চিকিৎসক। আর সেই কারণেই গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠেছে ভারত বায়োটেকের সম্মতিপত্র। সেখানে বলা হয়েছে,যদি একটি কার কারণে কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া গ্রহীতার শরীরে দেখা দেয়, তাহলে সরকারি হাসপাতাল বা চিকিৎসা কেন্দ্রে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা হবে। যদি ঠিকানা হওয়ার পর শরীরে বড় কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণের মাত্রা ঠিক করবে আইসিএমআর এথিকস কমিটি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন